10 Minute Skin Care Routine: আমাদের এই ব্যস্ত জীবনে সত্যিই যেন সময়ের অভাব। খুবই অভাব। দিনের বেশিরভাগ সময়টা অফিসে কাটানোর পরে বাড়িতে এসে এতটাই ক্লান্ত লাগে যে নতুন করে কিছু করতে ইচ্ছে করে না।
ক্লিনজিং- ২ মিনিট
স্কিনকেয়ার রুটিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এটি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ও রাতে শুতে যাওয়ার আগে মুখ ক্লিনজারের সাহায্যে পরিষ্কার করা উচিত। মুখ পরিষ্কার না করলে আপনার মুখের পোরসে এইসব ধুলো-ময়লা, মেকআপ জমতেই থাকবে।
বাজারে চলতি বিভিন্ন ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। আপনার তৈলাক্ত ত্বক হলে জেল বেসড ক্লিনজার ব্যবহার করুন। এতে আপনার ত্বক ফ্রেশ থাকবে। ত্বক পরিষ্কার থাকলে ত্বকের ভিতর অক্সিজেন পৌঁছাবে। কোনও ভাবেই মুখ ঘষবেন না। এছাড়াও আপনি দিনে একাধিকবার মুখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিতে পারেন। ফ্রেশ লাগবে। তবে শীতকালে এর খুব বেশি প্রয়োজন হবে বলে মনে হয় না।
টোনিং- ২ মিনিট
ক্লিনজিং করার পরেই মুখ পরিষ্কার রাখার পরবর্তী ধাপ হল টোনার ব্যবহার। তবে মুখ পরিষ্কার না করে কখনও টোনার ব্যবহার করবেন না। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখাতে টোনার খুবই উপযোগী। এটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বকে সুরক্ষা স্তর তৈরি হয়। যা আপনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় থাকে।
পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হলেই ত্বকে একাধিক সমস্যা দেখা যায়। যদি দেখেন যে, হঠাৎই আপনার মুখ শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে বা আবার হঠাৎ তেলতেলে হয়ে যাচ্ছে, তাহলে বুঝতে হবে যে, মুখের পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
একটি তুলোর প্যাড নিন। তাতে টোনার নিয়ে ভাল ভাবে ত্বকে লাগিয়ে নিন। তবে ত্বকে ঘষবেন না। গোলাপ জলও টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। মুখ ভালো রাখতে এবং টানটান রাখতে বেশ কাজে দেয় এই টোনার।
ফেস সিরাম – ১ মিনিট
আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য় এই ধাপটিও খুবই প্রয়োজন। এখন বিউটি ওয়ার্লডে ভিটামিন সি ফেস সিরাম খুবই জনপ্রিয়। কারণ, এই সিরামের ভিটামিন সি ও ই আপনার ত্বককে ভালো রাখে। আপনি টোনিং করার পর এই ফেস সিরাম ত্বকে লাগিয়ে নিন।
কয়েক ফোঁটা সিরাম মুখে লাগাবেন। তারপর হাতের তালুর সাহায্যে সারা মুখে মাসাজ করে নেবেন। এতে আপনার মুখের জেল্লাও হবে দেখার মতো। ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকবে।
আই ক্রিম – ১ মিনিট
সারাদিন সবথেকে বেশি চাপ পড়ে আমাদের চোখে। যাঁরা কম্পিউটারে কাজ করেন, তাঁদের চোখের উপর বেশি চাপ পড়ে। আমাদের চোখের চারপাশের চামড়া এমনিই তুলনামূলক বেশি সেন্সিটিভ হয়। সে জন্য চোখের চারপাশের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হলে কালো হয়ে যায়।
আমাদের এই জন্যই চোখে আই ক্রিম লাগানো দরকার। চোখের চারপাশে ভালো করে আই ক্রিম লাগিয়ে নিন। সামান্য় মাসাজ করে নিতে পারেন। এতে চোখের আশপাশের ত্বক রিল্যাক্সড হয়। এতে ঘুমও ভালো হতে পারে। এভাবেই চোখের যত্ন নিন। ডার্ক সার্কেল এড়াতে এই আইক্রিম ব্যবহার করা খুবই জরুরি।
বিশ্রাম – ২ মিনিট
একাধিক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট আপনি ইতিমধ্য়েই ব্যবহার করেছেন। এবার আপনারও যেমন একটু বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। একইভাবে আপনার ত্বকেরও একটু বিশ্রাম প্রয়োজন। সামান্য বিরতি নিন। একটু রিল্যাক্স হয়ে বসুন। আপনি গান শুনতে পারেন। মিনিটের বিরতি নিয়ে শেষ ধাপ সম্পূর্ণ করুন।
ময়শ্চারাইজার – ২ মিনিট
আপনার স্কিনকেয়ার রুটিনের শেষ ধাপ এটি। কিন্তু ময়শ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না। অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এটি। পরিমাণ মতো ময়শ্চারাইজার হাতে নিয়ে ভালো করে মুখে লাগিয়ে নিন। মাসাজ করে নিন। জোরে জোরে ঘষবেন না। তৈলাক্ত ত্বকে ময়শ্চারাইজার লাগাবেন। সেই ক্ষেত্রে জেল বেসড বা ওয়াটার বেসড ময়শ্চারাইজারও ব্যবহার করতে পারেন।